Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

অফিস সম্পর্কিত

          সরকারী রাজস্বের সিংহভাগ যোগানদানকারী সরকারী দপ্তর হিসেবে কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যপকতা ও করদাতা তথা ব্যবসায়ীগণকে যথাসময়ে যথাযথ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ দপ্তরের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর অধীন শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগের সম্প্রসারণ, সংগঠন জনবল ও লজিস্টিক বৃদ্ধি/যৌক্তিকীকরণ এর লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এর 25/08/2011 খ্রিস্টাব্দ তারিখের অনুমোদন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের 23/10/2011 খ্রিস্টাব্দ তারিখের আদেশের মাধ্যমে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর অধিক্ষেত্রাধীন কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এই 6টি প্রশাসনিক জেলার ভৌগলিক এলাকা নিয়ে শুল্ক, আবগারী ও মূসক কমিশনারেট, কুমিল্লা গঠিত হয়। গত 03/11/2011 খ্রিস্টাব্দ তারিখ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমিল্লা কমিশনারেট এর কার্যক্রম শুরু হয়। ততপূর্বে এ কমিশনারেটের আওতাধীন সমগ্র এলাকা (৬টি ভৌগলিক জেলা) দুটি (ফেনী বিভাগ ও কুমিল্লা বিভাগ) বিভাগীয় দপ্তরের মাধ্যমে কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো। বর্তমানে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার প্রত্যেক ব্যবসায়ী স্ব স্ব জেলায় অবস্থিত বিভাগীয় দপ্তর এবং প্রশাসনিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে কুমিল্লা সদর সার্কেল, লাকসাম সার্কেল, চান্দিনা সার্কেল, দেবিদ্বার সার্কেল, ফেনী সদর সার্কেল, সোনাগাজী সার্কেল, ছাগলনাইয়া সার্কেল, নোয়াখালী সদর সার্কেল, চাটখিল সাকেল, কোম্পানিগঞ্জ সার্কেল, লক্ষ্মীপুর সদর সার্কেল, রামগতি সার্কেল, চাঁদপুর সদর সার্কেল, হাজীগঞ্জ সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর সার্কেল ও নবীনগর সার্কেলের মাধ্যমে তাঁদের মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত যে কোন কার্যক্রম অতি অল্প সময়ে সম্পাদন করতে পারেন। তদুপরি এ কমিশনারেটের আওতায় আখাউড়া, বিবির বাজার ও বিলোনিয়া স্থল শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারত দুই দেশের ব্যবসায়ীগণ সহজেই বিভিন্ন পণ্য ও সেবা আমদানি ও রপ্তানি করতে পারেন। তাছাড়া দীর্ঘ্য ঐতিহ্যের বাহন হিসেবে এতদ্অঞ্চলের জনসাধারণ পাশ্ববর্তী অঞ্চলের ভারতীয় জনসাধারণের সাথে ভাব বিনিময়, পূজা পার্বনে আতিথ্য গ্রহণসহ যে কোন যোগাযোগ বৈধভাবে শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে সুসম্পন্ন করতে পারেন। এই কামিশনারেট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সরকারী রাজস্ব আদায় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শুল্ক আইন ও মূল্য সংযোজন কর আইন বিষয়ক যে কোন জটিলতা, মামলা মোকদ্দমা অল্প সময়ে নিষ্পন্ন করা যাচ্ছে। সরকারের এই সেবার বহুমূখীকরণ ও জণগণের দৌড়গোড়ায় সরকারী সেবা পৌছে দেবার সুযোগ নিয়ে এতদ্অঞ্চলের সকল ব্যবসায়ী এবং আপামর জনসাধারণ আরো অধিক পরিমানে উপকৃত হতে পারবেন। পাশাপাশি সরকারী সিদ্ধান্ত/ আইন বাস্তবায়নসহ সরকারী রাজস্ব আহরণে রাষ্ট্রও অধিক পরিমানে সমৃদ্ধ হবে।